হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় জেলেনস্কি তার পরিচিত সামরিক পোশাকের পরিবর্তে পরেছিলেন একটি কালো ফরমাল স্যুট। আর তার এই বেশভূষার প্রশংসা করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকের সময় ক্যাবিনেট রুমে মধ্যাহ্নভোজে ট্রাম্প রসিকতার ছলে জেলেনস্কির পোশাকের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি মনে করি তাকে এই জ্যাকেটটিতে খুব সুন্দর লাগছে, হ্যাঁ, দারুণ! আশা করি সবাই খেয়াল করবে। এটা ভালো, সত্যিই স্টাইলিশ, আমার পছন্দ হয়েছে।'
জেলেনস্কির বেশভূষার এ পরিবর্তন বেশ উল্লেখ্যযোগ্য, কারণ ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি সব সময় সামরিক পোশাকই পরে এসেছেন।
তবে এটাই প্রথমবার নয় যে জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার পোশাকে পরিবর্তন এনেছেন।
গত আগস্টে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে জেলেনস্কি তখনও সামরিক পোশাকের বদলে কালো ফরমাল জ্যাকেট, শার্ট ও প্যান্ট পরেছিলেন। সে সময়ও তার প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
ওই বৈঠকে রক্ষণশীল সাংবাদিক ব্রায়ান গ্লেন, যিনি এর আগে ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউজ সফরের সময় জেলেনস্কির পোশাক নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন— বলেন, ‘স্যুট পরে আপনাকে দারুণ লাগছে।'
তার এই মন্তব্যের পিঠে ট্রাম্প হেসে বলেন, ‘আমিও একই কথা বলেছি’। সেইসঙ্গে তিনি জেলেনস্কিকে মনে করিয়ে দেন, ‘এই সেই লোক, যে আগেরবার তোমার সমালোচনা করেছিল।'
জেলেনস্কি জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে রেখেছি।'
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলেনস্কির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ এতটা সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। সে সময় ইউক্রেনের এ প্রেসিডেন্ট তখন জেলেনস্কি কালো ফুলহাতা পোলো শার্ট ও সামরিক ধরনের প্যান্ট পরে উপস্থিত হন, যা ট্রাম্পসহ কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে ‘হোয়াইট হাউজের প্রতি অসম্মানজনক’ মনে হয়েছিল।
ট্রাম্প সেবার বিদ্রূপ করে বলেন, ‘আজ কিন্তু তুমি বেশ সাজগোজ করেই এসেছ!’
সে সময় সাংবাদিক ব্রায়ান গ্লেন জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি স্যুট পরেন না কেন? আপনি একটি দেশের সর্বোচ্চ পদে আছেন, অথচ স্যুট পরতে অস্বীকার করেন। আপনার কাছে কি স্যুট আছে? অনেক আমেরিকান মনে করেন, আপনি এই পদটির মর্যাদাকে সম্মান দিচ্ছেন না।'
এর উত্তরে জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, ‘ইউক্রেনে শান্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি আমার সামরিক পোশাকই পরব।'
আইকে/টিএ