গাজা যুদ্ধসংক্রান্ত অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। খবর আল-আরাবিয়ার।
২০২৪ সালের নভেম্বরে আইসিসি জানায়, গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে ‘যুক্তিসঙ্গত ভিত্তিতে অপরাধমূলক দায়িত্ব’ রয়েছে বলে তারা মনে করে। একই সঙ্গে হামাসের তিন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যদিও পরে তাদের মৃত্যুর কারণে তা বাতিল করা হয়।
এই পরোয়ানা জারির পর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। নেতানিয়াহু একে ‘ইহুদি-বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দেন এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে অপমানজনক বলে মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্র এরপর আইসিসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ইসরায়েল গত মে মাসে আইসিসির কাছে আবেদন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলি বাতিল করার জন্য। কারণ তখন একটি পৃথক বিষয়েও আদালতের এখতিয়ার নিয়ে চ্যালেঞ্জ চলছিল। ১৬ জুলাই আদালত জানায়, সেই আবেদন খারিজ করার ‘কোনো আইনগত ভিত্তি’ নেই।
এর এক সপ্তাহ পর ইসরায়েল আপিল করার অনুমতি চায়। কিন্তু শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আদালত জানায়, ‘ইসরায়েল যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছে, তা আপিলযোগ্য নয়।’ ১৩ পৃষ্ঠার একটি বিশদ রায়ে আইসিসি জানায়, ‘তাই চেম্বার ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে।’
তবে, ইসরায়েলের বৃহত্তর এখতিয়ার-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এখনো বিচারাধীন রয়েছে। যদিও আইসিসি গত নভেম্বরে একবার এই বিষয়ে ইসরায়েলের আপিল খারিজ করেছিল। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে আইসিসির আপিল চেম্বার জানায়, প্রি-ট্রায়াল চেম্বার তাড়াহুড়ো করে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইসরায়েলের যুক্তিগুলো নতুন করে বিচার করার নির্দেশ দেয়। তবে আদালত কবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
ইএ/টিকে