রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বলেছেন, মস্কো কখনোই আমেরিকা বা কোনো বিদেশি শক্তির চাপের কাছে মাথা নত করবে না। রাশিয়ার অভ্যন্তরে কোনো সামরিক হামলা হলে তার জবাবও দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২২ অক্টোবর) ট্রাম্প রাশিয়ার দুইটি সবচেয়ে বড় তেল কম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যার ফলে বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারতও রুশ তেল আমদানি কমিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছে।
পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা একটি বন্ধুসুলভ পদক্ষেপ। নিশ্চিত কিছু প্রভাব পড়লেও তা আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না। তিনি রাশিয়া জ্বালানি খাত নিয়ে এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী বলে দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, এটি অবশ্যই রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির একটি প্রচেষ্টা।
তিনি সতর্ক করেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার রপ্তানি ব্যাহত হলে তেলের দাম তীক্ষ্ণভাবে বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি স্টেশনগুলোতেও পড়বে। এটি ওয়াশিংটনের জন্য রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, সংক্ষিপ্ত মেয়াদে রাশিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক ক্ষতি সীমিত হতে পারে। কিন্তু নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ট্রাম্প সরকারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে তাদের লক্ষ্য রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাপের মুখে আনা এবং ক্রেমলিন শান্তিচুক্তি করতে বাধ্য করা। তবে ভারত রুশ তেল কেনা বন্ধ করবে কি না বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর জোর দেওয়ার পর ট্রাম্প সম্প্রতি পুতিনের ওপর হতাশা এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। রাশিয়াকে কাগজের বাঘ হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বুধবার জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি শীর্ষ বৈঠক বাতিল করেছেন।
এ ছাড়া মার্কিন অর্থমন্ত্রী রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানান তিনি।
সূত্র : রয়টার্স।
এবি/টিএ