৭৬৪ কর্মকর্তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বরাদ্দ ৭৫ কোটি টাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবসরে যাওয়া পদবঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে যোগ্যতা থাকার পরও ‘রাজনৈতিক’ তকমা দিয়ে প্রশাসনে হাজারও কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের বছরের পর বছর ‘গুরুত্বহীন’ পদে ফেলে রাখা হয়েছে। মেধাবী, দক্ষ এবং যোগ্য অনেক কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে রাখা হয়। কাউকে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরও দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর থেকেই প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন আসতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়। এ ছাড়া অবসরে থাকা বঞ্চিত যোগ্য কর্মকর্তাদের প্রশাসনে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর পদোন্নতিবঞ্চিত প্রশাসনে কর্মরত প্রায় ৭০০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

এরপর অতীতে যারা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন ও বছরের পর বছর ওএসডি ছিলেন তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি ওঠে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে বঞ্চিতদের জন্য গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন মন্ত্রিপরিষদ, অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের চার প্রতিনিধি।

কমিটির এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার ও এই সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে যথাযথ সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।

এই প্রজ্ঞাপনের পরই মূলত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদন জমা পড়তে থাকে। এরপর দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বঞ্চিতদের আবেদন নেওয়ার সময়মীমা বেধে দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে প্রায় সাড়ে চার হাজার আবেদন জমা পড়ে। এরপর যাচাই শেষে ৭৬৪টি আবেদন বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খাগড়াছড়িতে ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল ১ জনের Sep 11, 2025
img
হেলিকপ্টারের দড়ি ধরে পালান নেপালের মন্ত্রীরা Sep 11, 2025
img
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ জিতে টি-২০ সিরিজ শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা Sep 11, 2025
img
ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন লুঙ্গি এনগিদি Sep 11, 2025
img
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইয়েমেনে প্রাণ গেল অন্তত ৩৫ জনের, আহত কমপক্ষে ১৩১ Sep 11, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালেন নাহিদ ইসলাম Sep 11, 2025
img
জাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি Sep 11, 2025
img
জায়েদ খানের সঙ্গে কেন তানজিন তিশা ও মাহিয়া মাহি? Sep 11, 2025
img
জাকসু নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি করেছে : শিবির সমর্থিত প্যানেল Sep 11, 2025
img
জামায়াত মুখে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করলেও মাঠ পর্যায়ে সাপোর্ট দেয় : মাসুদ কামাল Sep 11, 2025
জয়-পরাজয় নয়, সবাইকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ভিপি সাদিক কায়েমের Sep 11, 2025
২৯ ইঞ্চি উচ্চতার ইসহাকের তিন যুগের কর্মজীবন! Sep 11, 2025
আ.লীগের সঙ্গে আঁ'তা'ত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিল জামায়াত: মির্জা আব্বাস Sep 11, 2025
আশরাফুল-মাহমুদউল্লাহকে কোচিংয়ে দেখতে চান বুলবুল! Sep 11, 2025
বাছাইপর্বে বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ রোনালদোর! Sep 11, 2025
ব্যাচেলর পয়েন্টে ফেরা তৌসিফ মাহবুবের জন্য ঈদে বাড়ি ফেরার মত Sep 11, 2025
img
জীবনে আসল বন্ধুত্ব বুঝতে নির্বাচনে দাঁড়ান : শামীম Sep 11, 2025
তাণ্ডবের পর সাইফের ‘হাওয়াই মিঠাই’ নিয়ে আলোচনায়! Sep 11, 2025
ওভার কনফিডেন্সের ফলেই কচ্ছপের জয়, মন্তব্য জয়ের! Sep 11, 2025
img
নেপালে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল দেশটির সেনাবাহিনী Sep 11, 2025