ছবি: সংগৃহীত
গত কিছুদিন ধরেই দেশের ক্রিকেট থেকে ‘ক্রিকেট’ ব্যাপারটিই উধাও হওয়ার দশা। মাঠের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের কাছে বিব্রতকর হারের ধাক্কা তো আছেই। তবে মাঠের বাইরে চলছে একের পর এক বিতর্কের অনাকাঙ্ক্ষিত স্রোত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি দফায় দফায় বদল, আম্পায়ার্স কমিটির ভুল, ক্রিকেটারদের একজোট হয়ে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দেখা করা, হৃদয়ের নতুন করে শাস্তি এবং নানা পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন, সবকিছু মিলিয়ে মাঠের বাইরে সময়টা উত্তাল।
বাংলাদেশ দল যদিও ঢাকায় নেই বেশ কিছুদিন ধরেই। সিলেটে প্রথম টেস্ট শেষ করে তারা সরাসরি চলে এসেছে চট্টগ্রামে। তবে ভৌগলিক এই দূরত্ব মানেই তো বিতর্ক থেকে দূরে থাকা নয়। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম হয়ে সবকিছুর ছোঁয়া ক্রিকেটারদের লাগছেই। তাদের নিজেদের মধ্যে নিত্য আলোচনাও চলছে। সব দলের ক্রিকেটাররা যখন একসঙ্গে হয়ে বোর্ড প্রধানের সঙ্গে কথা বলছেন, সেখানে টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের সায়, তাদের মানসিক অংশগ্রহণও থাকার কথা নিশ্চিতভাবেই।
সব মিলিয়ে মাঠের বাইরে বিষাক্ত বাতাস যে টেস্ট দলকে আক্রান্ত করতে পারে, সেই শঙ্কা অনুভব করছেন সিমন্সও। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কোচ বললেন, সন্ধ্যায় টিম মিটিংয়েই ঝাড়ফুঁক দিয়ে রাখতে চান তারা।
“এই ব্যাপারটি কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে যে, ওরা যেন এসব থেকে দূরে থাকে, মনোযোগে যেন ব্যাঘাত না ঘটে, বাইরের এসব আলোচনার কথা আপনি বলছেন…। আমরা একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। আগামীকালের আগে আজকে সন্ধ্যায় আমাদের চূড়ান্ত মিটিং যখন হবে, তখন এই ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিতে হবে যেন ওদের মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটে। এটা আগামী পাঁচদিনের ব্যাপার, এই পাঁচদিনে শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটই ভাবতে হবে, বাইরের কোনো কিছু নয়।”
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্টে তিন উইকেটের জয়ে এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে।