এ সময়ের ব্যান্ড কাকতাল। মাত্র চার বছর আগে জনসমক্ষে আসা ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন আসিফ ইকবাল। এ প্রজন্মের কাছে কাকতালের গান বেশ জনপ্রিয়। এই ব্যান্ডের প্রতিটি গানের কথায় সাবলীলতা ও বৈচিত্র্য গানকে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
এখন পর্যন্ত এই ব্যান্ডের ছয়টি অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে। ‘সোডিয়াম’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘গোলকধাঁধা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে ব্যান্ডটির। কিন্তু এরই মধ্যে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক ফেসবুক পোস্টে এমনটা জানালেও ব্যান্ডের প্রধান ভোকাল আসিফ ইকবাল অন্তু বললেন, ‘কাকতাল একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না।এটা আপাতত বন্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, ব্যান্ড দলের কার্যক্রম স্থগিত করেছি। এটা সাময়িক সময়ের জন্য। যদি আমাদের সব কিছু আবার ঠিকঠাক হয়ে যায় তবে আমরা ফিরে আসব।তবে সেটা শিগগিরই নয়।’
তবে ব্যান্ড দলের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘প্রায় চার বছরের এক দুর্দান্ত যাত্রা ছিল আমাদের—সেটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের ভালোবাসা ও পাশে থাকার জন্য। এই যাত্রায় আমরা অনেক ভালোবাসা, প্রাপ্তি আর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি যা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। আমরা আশা করি, আমাদের গানগুলো আপনাদের স্মৃতির পাতায় কিছুটা হলেও জায়গা করে নিতে পেরেছে।’
কার্যক্রম বন্ধ কারণ হিসেবে ব্যান্ডটি জানিয়েছে, ‘যেই শান্তির খোঁজে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেটিই এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।তাই এখন এই পথচলার ইতি টানার সময় এসেছে। আমরা সবাই যেন নিজ নিজ জীবনে সেই শান্তিটুকু খুঁজে পাই।’
এই ব্যান্ড শুরুর গল্পটা আসিফ ইকবাল অন্তু বলেছিলেন এভাবেই, গান নিয়ে কোনো শিক্ষাও নেই। ২০১৮ সালে লেখা শুরু করলাম। ২০১৯ সালে একটি অ্যালবাম প্রকাশ হয়। সেটা নিয়ে কিছুটা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এরপর মনে হলো আরো কয়েকজন এক হয়ে একটা ব্যান্ড তৈরি করা যায়। ২০২১ সালে প্রথম ব্যান্ড নিয়ে শো করলাম। এসব গান বা ব্যান্ড তৈরির পেছনে কোনো পরিকল্পনা নেই, একদম কাকতালীয়ভাবে তৈরি হয়েছে। তাই ব্যান্ডের নাম দিয়েছি কাকতাল।
কাকতাল বিস্তৃত হওয়া প্রসঙ্গে অন্তু বলেছিলেন, ‘বড় পরিসরে উন্মুক্ত শ্রোতাদের সামনে আসার সুযোগ হয় চিরকুট ব্যান্ডের ২০ বছর পূর্তির কনসার্টে। আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন চিরকুটের সুমি আপু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ওই কনসার্টে আমরা দুইটা গান গাই। একটা ১০ মিনিটের গান ও একটা চার মিনিটের গান। সেখানে শ্রোতাদের কেমন প্রতিক্রিয়া বা সাড়া পেয়েছি, ধরতে পারিনি। কিন্তু আমরা ধীরে বুঝতে পারলাম ওই কনসার্টের মাধ্যমে আমরা একটা বড় শ্রেণির শ্রোতা পেয়েছি।’
এমআর/টিএ