এক সময়ে পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন তিনি। এখন আদ্যোপান্ত ভারতীয়। এমনকি পহেলগাঁও কাণ্ড ও অপারেশন সিঁদুর-এর পরে ক্রমাগত ভারতের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এ বার নিজের কানে তেরঙা ‘ইন-ইয়ার মনিটর’ লাগিয়ে ছবি ভাগ করে নিলেন আদনান সামি। মঞ্চে অনুষ্ঠানের সময়ে সঙ্গীতশিল্পীরা কানে এই যন্ত্রের ব্যবহার করেন। এই যন্ত্রের উপরে ভারতের পতাকার নকশা তৈরি করিয়েছেন গায়ক। তার পরেই তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছে পাকিস্তান থেকে কটাক্ষ।
আমেরিকা থেকে এই তেরঙা ‘ইন-ইয়ার মনিটর’ আনিয়েছেন আদনান। ছবি ভাগ করে নিয়ে গায়ক সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আমেরিকা থেকে এই ইন-ইয়ার আনিয়েছি। এর আগে আরও এক জোড়া ছিল আমার কাছে। মঞ্চের অনুষ্ঠানের জন্য এটা দারুন। আমার অনুরোধেই ওরা ভারতের পতাকার নকশা করে দিয়েছে ইন-ইয়ারে।”
আদনান এই পোস্ট করতেই এক পাকিস্তানি নিন্দক খোঁচা দিয়ে বলেন, “আপনি খুব বোকা। এই সব করে আপনি ভারত-প্রেম দেখাতে চাইছেন! হাস্যকর।” পাল্টা জবাব দিয়েছেন আদনানও। তিনি লিখেছেন, “আমি অন্তত নিজের দেশের প্রতি ভালবাসা ও আবেগ প্রকাশ করছি, যা সমস্ত স্বাভাবিক নাগরিক করে থাকেন। কিন্তু অন্য দিকে আপনাদের তো সেনাবাহিনীর প্রতি আনুগত্য করা ছাড়া আর কোনও রাস্তাই নেই। সারা জীবন ওদের চাবুক খাওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই।”
জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও, আদনান ২০১৫ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের হয়েই সরব হয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন পাকিস্তানকে ত্যাগ করেছিলেন আদনান? পাকিস্তান ছেড়ে আসার প্রসঙ্গে আদনান ২০২২ সালের সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, “আমার পাকিস্তান সরকারকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে। যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁরা জানবেন, এই সরকার আমার সঙ্গে কী করেছে! পাকিস্তান ছেড়ে আসার এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।” কিন্তু পাক সরকার ঠিক কী করেছিল আদনানের সঙ্গে? গায়ক লিখেছিলেন, “এক দিন আমি সব ফাঁস করে দেব। জানিয়ে দেব, ওরা আমার সঙ্গে কী কী করেছে। অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। সাধারণ মানুষ শুনলে চমকে যাবে। বহু বছর আমি নীরব থেকেছি। কিন্তু সঠিক সময়ে আমি ঠিক বলে দেব।
এফপি/এসএন