গত দুই ঈদে মুক্তি পেয়েছিল শাকিব খানের বিগ বাজেটের দুই সিনেমা ‘বরবাদ’ ও ‘তাণ্ডব’। মুক্তির পরপরই প্রেক্ষাগৃহে দারুণ সাড়া ফেলেছিল সিনেমা দুইটি।
তবে ‘বরবাদ’ ও ‘তাণ্ডব’ ঝড় থেমে যায় পাইরেসির ছোবলে। প্রেক্ষাগৃহে ঢল থাকলেও, মাত্র সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে ছবি দুইটির মাস্টারপ্রিন্ট কপি।
বিষয়টি নিয়ে এরপর থেকেই আলোচনার ঝড় উঠে। এমনকি তাণ্ডব সিনেমা পাইরেসির দায়ে টিপু সুলতান নামে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা অনন্য মামুন বলেছেন, তাণ্ডব ও বরবাদ পাইরেসি করেছেন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত লোকেরাই।
ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাণ্ডব, বরবাদ সিনেমার ঘটনাকে আমি পাইরেসি বলতে ইচ্ছুক না। কারণ আমরা পাইরেসি বলতে বুঝি, থিয়েটার থেকে তৃতীয় কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে ছবি ধারণ করে কেউ অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তবে এই দুই সিনেমার ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা দেখলাম না। এই দুটি ছবিরই মাস্টারপ্রিন্ট ছড়িয়েছে। যেটা এইচডিরও উপরে।’
সেক্ষেত্রে মাস্টারপ্রিন্ট কেবল সিনেমার সঙ্গে যুক্ত লোকেদের মাধ্যেমেই ছড়াতে পারে উল্লেখ করে মামুন বলেন, ‘পাইরেসির বেনিফিট কি? আগে পাইরেসিতে কলকাতা হারবালের বিজ্ঞাপন থাকতো। সেখান থেকে টাকা পাওয়া যেত। কিন্তু এখন এটার টাকা দ্বিগুন হয়ে গেছে। কারণ সেখানে বিদেশি অনলাইন ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপন যাচ্ছে। তার মানে বড় ডিলে বিক্রি হইছে। আর বড় ডিল যখন হয়েছে, তখনই মাস্টারপ্রিন্ট লিক হচ্ছে।’
‘এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, হয়তো প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যে কেউ বিক্রি করেছে। নয়তো প্রোডাকশনের জন্য সিনেমা যখন তৃতীয় কোনো পক্ষকে দেওয়া হয়েছে ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য, সেখান থেকে ফাঁস হয়েছে।’
এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘বলিউডেও পাইরেসি হচ্ছে। তবে সেটা হলপ্রিন্ট। মাস্টারপ্রিন্ট না। কিন্তু বরবাদ ও তাণ্ডব সিনেমার যে মাস্টারপ্রিন্ট লিক হয়েছে, আমার জানামতে এমন পাইরেসির ঘটনা পৃথিবীর কোথাও হচ্ছে না।’
কেএন/এসএন