সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের সমাবেশে ময়মনসিংহের ২০ হাজার নেতাকর্মীর মিছিল

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন ময়মনসিংহের ২০ হাজার নেতাকর্মী। একটি ট্রেনের ১১টি বগি ভাড়া করে ও শতাধিক বাস নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে তারা ঢাকার সমাবেশে এসেছেন।

ময়মনসিংহ শহরের জামায়াত নেতা আনোয়ার হাবিব খান দাবি করে বলেন, জামায়াতের শুধু ময়মনসিংহ শহর শাখা থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।

সাত দফা দাবিতে আয়োজিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে ইতোমধ্যে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।

নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি পরে এসেছেন হাজারো নেতাকর্মী।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে আসা জামায়াতকর্মী সোহেল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের উপজেলা থেকে ৪০টি বাসসহ বিভিন্নভাবে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ এসেছি। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা জামায়াতের কর্মী এরশাদ আলী বলেন, বাসে করে, ট্রেনে ৩০/৪০ হাজার নেতাকর্মী আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছি। অনেকে রাত থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করছেন।

এদিকে জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দায়িত্ব পালন করছেন ২০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে সমাবেশের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্পটে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।
শনিবার ভোর থেকে হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্য ভবন, শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের ড্রেস পরে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোন অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

মৎস্য ভবন স্পটের স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রধান মাসুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। পুরো রাজধানী জুড়ে আমাদের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছে। শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ভোর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী প্রবেশ করতে দেখা গেছে জামায়াত নেতাকর্মীদের।

সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে দলটি।

কেএন/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনা-নিজাম হাজারীসহ দুই শতাধিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে যাচ্ছে পুলিশ Jul 21, 2025
img
উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটি, ৪০ মিনিট আকাশে চক্কর দিয়ে অবতরণ ইন্ডিগোর Jul 21, 2025
img
আরব আমিরাত থেকে আফগানদের বিতাড়নের বিপক্ষে ট্রাম্প Jul 21, 2025
img
ভারতকে হতাশ করে ইংল্যান্ডকে ‍সুখবর দিল আইসিসি Jul 21, 2025
img
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বড় আত্মত্যাগ বিএনপির : অনিন্দ্য ইসলাম অমিত Jul 21, 2025
img
শুটিংয়ে প্রেমের গুঞ্জন, রামায়ণের ‘রাম’ হয়ে ওঠা হলো না সালমানের! Jul 21, 2025
img
নভেম্বরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ Jul 21, 2025
img
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে কেউ মারা যাবে তা কাম্য নয় : নুরুল হক নুর Jul 21, 2025
img
দেশে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে আজ? Jul 21, 2025
img
এ রকম দুর্বিষহ অবস্থা বাংলাদেশে ঘটেনি : গোলাম মাওলা রনি Jul 21, 2025
img
প্রথমবার আমেরিকা যাচ্ছে অর্থহীন, মাতাবে ১২টি শহর Jul 21, 2025
img
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে আগরবাতি আমদানি Jul 21, 2025
img
এত নির্দোষ, নিরপরাধ ও নিষ্পাপ সরকার আমি দেখিনি : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Jul 21, 2025
img
নোয়াখালীতে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা মঙ্গলবার Jul 21, 2025
img
বাড়ছে তিস্তায় পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারেজের ৪৪ গেট Jul 21, 2025
img
ইরান নতুন পারমাণবিক স্থাপনা গড়লে আবারও হামলার হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প Jul 21, 2025
img
যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তাদেরই নাম মুছে গেছে : আনিস আলমগীর Jul 21, 2025
img
টেকসই লেনদেন ও বিনিয়োগ উভয়ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা Jul 21, 2025
img
দেশের ৪ বিভাগে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস Jul 21, 2025
img
গাজায় একদিনে প্রাণ হারালেন আরও অন্তত ১১৫ ফিলিস্তিনি Jul 21, 2025