কোনো প্রটেকশন দিয়ে চাঁদাবাজদের রক্ষা করা যাবে না : সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা আর চাঁদাবাজি দেখতে চাই না। কোনো ধরনের দলীয় বা ব্যক্তিগত অন্য কোনো প্রভাবের প্রটেকশন দিয়ে এই দেশে চাঁদাবাজদের রক্ষা করা যাবে না। কেউ যদি চাঁদাবাজদের প্রটকেশন দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে সেও চাঁদার ভাগীদার হিসেবে বিবেচিত হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, আমরা দেখেছি বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের নিদিষ্ট কিছু জেলায় ও অঞ্চলে হাজার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ গেছে। কিন্তু এই যমুনার পাড়ে টাঙ্গাইলের মানুষের জন্য হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ আসেনি। বরং যেটুকু এসেছে সেটুকুর অর্ধেকের বেশিও তাদের নেতাকর্মীরা লুটপাট করে খেয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলতে চাই। চব্বিশ-পরবর্তী এই বাংলাদেশের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যন্যা বাহিনীকে বাংলাদেশের জন্য দেখতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য দেখতে চাই। আমরা কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য আর প্রশাসনকে ব্যবহার হতে দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে আরেকটা কথা বলি, আগামীর বাংলাদেশে কোনো মিডিয়াকে ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। এই মিডিয়া যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজে না লাগে। এই মিডিয়া যেনো প্রোপাগান্ডা বাস্তবায়ন সেলের অংশ হিসেবে কাজ না করে। চব্বিশের পূর্ববর্তী সময়ে কয়েকটি মিডিয়া অন্ধভাবে দলের দালালি করেছে। তাদের সংবাদ কর্মীরা আজকে তারা যে চ্যানেলে কাজ করে সেটা বলতেও লজ্জা পাই। আমরা চাই না চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো মিডিয়ার আর এই করুন দশা হোক।

তিনি আরও বলেন, দেশের বাইরে এই টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের কথা কার না জানা। কিন্তু শুধু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোশকতার অভাবে টাঙ্গাইলের এই তাঁতশিল্পকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সারজিস আলম বলেন, এই বাংলাদেশে প্রত্যকটি জায়গায় শুধু একজন নেতাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে ঘূর্ণায়মান করা হয়েছে। অথচ যাদেরকে দেখে, তারা রাজনীতিবীদ হওয়ার স্বপ্ন দেখতো সেই শেরে বাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মতো ব্যক্তিদেরকে ইতিহাসের একটি কোণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা ও ডা. তাজনুভা জাবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাফোর্ডকে দলে ভিড়িয়ে যে রেকর্ড গড়লেন পেপ গার্দিওলা Jul 31, 2025
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া! Jul 31, 2025
রুপ বদলেছে হার্ট এট্যাক, পরিনত হয়েছে নিরব ঘাতকে! Jul 31, 2025
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Jul 31, 2025
আ.লীগের সশস্ত্র গোষ্ঠী নানা রকম তৎপরতা-অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে: রনি Jul 31, 2025
img
সিঙ্গাপুর-কানাডা সম্পর্ক জোরদারে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সিঙ্গাপুরের নেতার ফোনলাপ Jul 31, 2025
কটু ভাষায় আধ্যাত্মিক গুরুকে বিঁধলেন খুশবু Jul 31, 2025
"তাসকিনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিলেন বন্ধু সৌরভ,পারিবারিকভাবে মিটেছে বিষয়টা" Jul 31, 2025
img
‘ক্ষুধা কখনও কমে না’, ফরাসি ক্লাব তুলুজকে হারিয়ে রোনালদো Jul 31, 2025
img
বিএনপি শক্তিশালী হলে দেশ ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে : প্রিন্স Jul 31, 2025
img
সাবেক দুই ডিসিসহ ‎মাদারীপুরে ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু Jul 31, 2025
img
অস্ট্রেলিয়া সফরে কেন যেতে চান, জানালেন নাইম Jul 31, 2025
img
শান্ত অনেক ভালো অধিনায়ক, দলকে একসাথে রেখেছিল : নাইম Jul 31, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে: নূরুল ইসলাম Jul 31, 2025
img
বুলবুলের সঙ্গে আলোচনায় যেসব বিষয়ে কথা হয়েছে সালাউদ্দিনের Jul 31, 2025
img
ওমানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 31, 2025
img
নারী প্রতিনিধিত্বে ঐক্যমত, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব : আলী রীয়াজ Jul 31, 2025
img
জালালাবাদে শেষ হল বাংলাদেশ ও ইউএস আর্মির মধ্যকার যৌথ প্রশিক্ষণ Jul 31, 2025
img
সমগ্র দেশের মানুষ আজ সংস্কার ও বিচার চায় : নাহিদ ইসলাম Jul 31, 2025
img
ক্লাস ফেলে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা, প্রতিবাদের মুখে এনসিপি নেতার দুঃখপ্রকাশ Jul 31, 2025