বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন পেলে বিএনপি আগামী নির্বাচনের পর অভিজ্ঞ, যোগ্য ও মেধাবী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠন করবে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। পাবলিক পরীক্ষায় গণপাশ, উত্তরপত্রে গণহারে নম্বর প্রদানের কারণে জিপিএ-৫ এর বাম্পার ফলনেও প্রকৃত মেধা যাচাই সম্ভব হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণিকক্ষভিত্তিক কার্যক্রমের পরিবর্তে দিবস ও অনুষ্ঠান নির্ভর কার্যক্রম হয়েছে। তাই পড়াশোনাভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করা অতিব জরুরি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের (নন-এমপিওভুক্ত) পরিচিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা ভালো না হলে মেধাবী প্রজন্ম গড়ে ওঠে না। এতে দেশ এবং রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে পরিকল্পিতভাবে প্রজন্ম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সভায় বেসরকারি স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক জিএম আজহারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব হযরত আহম্মেদ সাকিবের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার।
এতে আরও বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আমজাদ আলী, বেসরকারি স্কুল এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আলম বাবুল, একেএম আব্দুল্লাহ, আলক ঘোষ ছোটন, শিবলী নোমানী, আব্দুর রহমান ফরাজী, ওসমান গণি কুসুম, ময়নুল আবেদিন রতন, হাবীবুর রহমান হাবীব, রফিকুল ইসলাম, মো. রফিক মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত শিক্ষকদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।
এমকে/টিএ