যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। ৮৫টি ড্রোন এবং অন্তত একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে রুশ বাহিনী। তবে এসব হামলার বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী। খবর আরবিসি-ইউক্রেনের।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিই ছিল আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।
বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রতি কিছুটা সুর নরম হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। পুতিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি সহজে বদলাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক।
বৈঠকের পরই ফের ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার খবর এলো। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর বরাতে আরবিসি-ইউক্রেন জানিয়েছে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত থেকে দফায় দফায় হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের একাধিক শহর লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং ৮৫টি শাহেদ ড্রোন।
রাশিয়ার কুরস্ক, ওরিওল ও রোস্তভ অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেনের সুমি, দোনেৎস্ক, চেরনিহিভ ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের ফ্রন্টলাইন এলাকাগুলো লক্ষ্য করে চালানো হয় এসব হামলা। তবে হামলার বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর দাবি, ৮৫টির মধ্যে ৬১টিই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। মাত্র একটি মিসাইল এবং ২৪টি ড্রোন ১২টি এলাকায় আঘাত হানে। তবে এসব হামলায় হতাহতের তথ্য জানানো হয়নি।
আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের আগে আগে ইউক্রেনজুড়ে হামলা চালায় রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাতভর প্রায় ১০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। যার মধ্যে ৬৩টি ড্রোন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানায় ইউক্রেনের বিমান বাহিনী। বাকিগুলো আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে সাতজন বেসামরিক লোক নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়।
এমআর/টিকে