ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের ভূগোল ও সৌন্দর্য ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসছে। ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আবারো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। জনপ্রিয় পর্যটন স্থান পেহেলগামেও পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে। বর্তমানে পেহেলগামে অবস্থানরত সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সহযাত্রীদের মৃত্যুতে তাঁরা গভীরভাবে শোকাহত, তবে এখানে বাজারসহ সব কিছু এখনো স্বাভাবিকভাবে চলমান। তিনি জানান, সেনাবাহিনী স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভাল করছে এবং ভারত সরকার ও স্থানীয়রা সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করছে। তিনি আরও জানান, তাদের আসার পর থেকে কোনো ধরনের ভয় বা আশঙ্কা অনুভব করছেন না।
তবে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তাপ কমছে না। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর থেমে থেমে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। ভারতের সরকার সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ সরাসরি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। হামলার পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী একটি নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে চীন ও রাশিয়া অংশগ্রহণ করবে।
এদিকে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইয়ের সঙ্গে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। চীন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামাবাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। হামলার এক সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ এখনও হামলার মূল দোষীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। তবে, সন্দেহভাজন একাধিক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে এবং কয়েকজনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
এসএন