প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। তবে সামনে রয়েছে বদলার সুযোগ। সোমবার (২৮ এপ্রিল) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে তিন উইকেটে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। টানা চার বছর টেস্ট না জেতা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন হার ভক্তদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
রোববার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘বাংলাদেশি জনগণের ক্রিকেটের প্রতি আবেগ সত্যিই অনন্য। আমি তাদের কাছে ধৈর্য চাইছি। আমরা দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির জন্য সঠিক প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
শুধু সমর্থকদের নয়, খেলোয়াড়দের জন্যও বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সিমন্স বলেন, ‘খেলোয়াড়দের বলেছি, কিছু সহজ ভুলে আউট হয়েছি আমরা। সামনে এগোতে হলে এগুলো এড়াতে হবে। শুধু দুই-তিনটি টেস্টে ভালো খেললে চলবে না, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স লাগবে।’
এদিকে দ্বিতীয় টেস্টে দলে থাকছেন না তরুণ পেসার নাহিদ রানা। তিনি পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছেন। ফলে বাংলাদেশ বোলিং আক্রমণে গতি হারালেও দক্ষতা নিয়ে আশাবাদী সিমন্স। তাঁর ভাষায়, ‘গতি হারিয়েছি ঠিক, কিন্তু দক্ষতা হারাইনি। এই কন্ডিশনে দক্ষতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ ও তানজিম সাকিবের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখছি।’
নাহিদ রানার পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন স্পিনার তানভির ইসলাম। ফলে স্কোয়াডে এখন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও তানভির— মোট চার স্পিনার। বিপরীতে মূল পেসার মাত্র তিনজন।
প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের পেস ও বাউন্সের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়া বাংলাদেশের জন্য চট্টগ্রামে স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চিন্তাভাবনাও অস্বাভাবিক নয়। শেষ পর্যন্ত পেস নাকি স্পিন— কোন অস্ত্রে জিম্বাবুয়েকে ঘায়েল করতে চায় বাংলাদেশ, তার উত্তর মিলবে মাঠে নামার পর, আগামীকাল সোমবার।
এসএস/এসএন