ছবি: সংগৃহীত
করলার নাম শুনলেই মুখে তেতো স্বাদ এসে পড়ে, তাই না? অনেকেই এই সবজিকে তাদের পছন্দের তালিকায় রাখতে করলার নাম শুনলেই মুখে তেতো স্বাদ এসে পড়ে, তাই না? অনেকেই এই সবজিকে তাদের পছন্দের তালিকায় রাখতে চান না। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন বাবা-মা আমাদের এত জোর করে করলা খেতে বলেন? কারণ একটাই—করলার অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। যারা নিয়মিত করলা খান, তারা বলেন—এই স্বাদে অভ্যস্ত হলে করলার প্রেমে পড়তে সময় লাগে না!
চলুন, জেনে নিই করলা খাওয়ার কিছু দুর্দান্ত উপকারিতা:
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে
করলা খুবই কম ক্যালোরিযুক্ত, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এটি হতে পারে আপনার ডায়েটের সেরা সঙ্গী।
২. হজমে সহায়তা করে
করলায় রয়েছে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার, যা খাবার সহজে হজম ও শোষণে সাহায্য করে। পেট ফাঁপা, ভারীভাব কিংবা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাও কমে।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
১০০ গ্রাম করলায় মাত্র ১৩ মি.গ্রা. সোডিয়াম এবং ৬০২ মি.গ্রা. পটাসিয়াম থাকে। এতে থাকা "পি-ইনসুলিন" নামের প্রাকৃতিক উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
করলায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ও উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ ঠেকায়।
৫. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর
আয়রন, ম্যাগনেশিয়ামসহ বিভিন্ন মিনারেলস করলাকে ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী করে তোলে। নিয়মিত করলার রস পান করলে ব্রণ ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
তেতো হলেও করলা শরীরের জন্য মিষ্টি সুফল বয়ে আনে। চাইলে ভাজি, ঝাল অথবা রস আকারে খাওয়া যায়। একটু রেসিপি জানলে এর স্বাদও হয়ে উঠতে পারে উপভোগ্য। শরীর ভালো রাখতে করলাকে এবার নিয়মিত খাওয়ার তালিকায় রাখুন।রলার নাম শুনলেই মুখে তেতো স্বাদ এসে পড়ে, তাই না? অনেকেই এই সবজিকে তাদের পছন্দের তালিকায় রাখতে চান না। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন বাবা-মা আমাদের এত জোর করে করলা খেতে বলেন? কারণ একটাই—করলার অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। যারা নিয়মিত করলা খান, তারা বলেন—এই স্বাদে অভ্যস্ত হলে করলার প্রেমে পড়তে সময় লাগে না!
এসএস/এসএন