গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইএইএ বলেছে, তাদের কর্মীরা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে ফিরে যাবেন। খবর আল জাজিরার।
খবরে বলা হয়, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইরানি নেতারা আইএইএর কঠোর সমালোচনা করে আসছেন। তারা বলছেন, আইএইএ ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিরুদ্ধে কোনো নিন্দা জানায়নি; বরং হামলার ঠিক আগের দিন ১২ জুন তারা ইরানকে দোষারোপ করে একটি প্রস্তাব পাস করে। প্রস্তাবে অভিযোগ করা হয়, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিসংক্রান্ত বিধি-নিষেধ মানছে না।
এরই ধারাবাহিকতায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আইএইএর সঙ্গে ইরানের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থগিতের নির্দেশ দেন।
সংস্থাটিকে সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ রাখার এ প্রস্তাব আগেই ইরানের পার্লামেন্টে পাস হয়েছিল। পরে দেশটির সর্বোচ্চ পরিষদ ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’ সেটি অনুমোদন করে।
আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, সংস্থাটি যেন আবারও পর্যবেক্ষণ ও যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করা খুবই জরুরি।
আল জাজিরার সংবাদদাতা রেসুল সেরদার বলেছেন, ঠিক কতজন আইএইএ কর্মী ইরান ছেড়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তার মতে, সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ যেভাবে বলেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে না যে সবাই, নাকি কয়েকজন ইরান ছেড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (আইএইএর কর্মী) উড়োজাহাজে চড়েননি। সড়কপথে হয়তো গতকাল বা এর আগের দিন আর্মেনিয়ায় গেছেন। এরপর তাঁরা ভিয়েনা পৌঁছেছেন।’
তার মতে, এ ঘটনা ইরানে এখন এক ধরনের ‘পারমাণবিক অনিশ্চয়তার যুগ’-এর সূচনা করেছে।
কেএন/টিকে