বাংলাদেশের নারী ফুটবলে বাকবদলের শুরুটা ২০১৭ সালে এএফসি অ-১৬ নারী টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলার মাধ্যমে। পরের আসরেও বাংলাদেশ চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিল। এরপর টানা দুই আসরে বাছাই পর্ব পার হতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
বাফুফে এবার অ-১৭ নারী দলকে আরব আমিরাতে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলিয়েছে। যা আগে কখনো বয়স ভিত্তিক নারী দলের টুর্নামেন্টের আগে দেখা যায়নি। দুই ম্যাচের পর কোচ সাইফুল বারী টিটু প্রস্তুতি পরিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। বাস্তবে জর্ডানে বাংলাদেশ তেমন ভালো মানের ফুটবল খেলতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে চতুর্থ মিনিটে লিড পেলেও ৮৯ মিনিটে গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ঐ ম্যাচে ফিনিশিং ব্যর্থতা ছিল প্রবল।
আগামী বছর চীনে মূল পর্বে খেলতে হলে গতকাল চাইনিজ তাইপেকে হারানোর কোনো বিকল্প ছিল না। সেই বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। পুরো ম্যাচই চাইনিজ তাইপে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। বাংলাদেশ রক্ষণ ঘুচাতেই ব্যস্ত ছিল। সেই রক্ষণেও ছিল অসংখ্য ভুল। বাংলাদেশ মাঝে মধ্যে আক্রমণ করলেও সেগুলো গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। চাইনিজ তাইপে বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী কিন্তু এত প্রস্তুতির পরও এভাবে ৫ গোলে হার মানানসই নয়। ফলে কোচের কৌশল ও পরিকল্পনা যেমন প্রশ্নবিদ্ধ তেমনি ফুটবলারদের সামর্থ্য-যোগ্যতাও কাঠগড়ায়।
জর্ডানে এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ থেকে কোনো ক্রীড়া সাংবাদিক কাভার করতে যাননি। বাফুফে মিডিয়া বিভাগ টুর্নামেন্ট সংক্রান্ত তথ্য, ছবি, ভিডিও প্রেরণ করে। গতকাল পাঁচ গোলে হারের পর কোচ সাইফুল বারী টিুটর কোনো প্রতিক্রিয়া পাঠায়নি বাফুফের মিডিয়া বিভাগ। কোচকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেও পাওয়া যায়নি কোনো প্রতিক্রিয়া। নারী ফুটবল দলের ম্যাচের ফলাফল নেতিবাচক হলে কোচের প্রতিক্রিয়া না পাওয়া অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এএফসি অ-২০ টুর্নামেন্টে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারের পরও বৃটিশ কোচ বাটলারের মন্তব্য দেয়নি বাফুফের মিডিয়া বিভাগ।
সাইফুল বারী টিটু মূলত বাফুফের ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর। তিনি মূলত কোচিং কোর্স করান। সেখান থেকে বাফুফের আয় আসায় থাকে না তেমন জবাবদিহিতা। বিশেষ প্রয়োজনে অ-২৩ পুরুষ দল ও অ-১৭ নারী দলের হেড কোচের দায়িত্ব দিয়েছে ফেডারেশন। ভিয়েতনামে অ-২৩ টুর্নামেন্টের সময় ছিলেন অসুস্থ ফলে ব্যর্থতার দায়ভার থেকে খানিকটা পরিত্রাণ পেয়েছেন। এএফসি অ-১৭ নারী টুর্নামেন্টে অবশ্য সুস্থ থেকেই অনুশীলন ও ডাগআউটে ছিলেন। এরপরও কেন এমন ব্যর্থতা সেটার কোনো জবাব মিলেনি এখনো।
এবি/টিকে