ওটস, একটি জনপ্রিয় ব্রেকফাস্ট আইটেম, শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যও উন্নত করতে পারে। এই ছোট ছোট শস্যগুলোতে এমন সব পুষ্টি উপাদান থাকে, যা আপনার দিন শুরু করার জন্য চমৎকার এবং সারাদিন ভালো থাকার জন্য সহায়ক। আপনি যদি ওটসকে ওটমিল, স্মুদি বা বেকড আইটেম হিসেবে খেতে পছন্দ করেন, তবে এটি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জায়গা পাওয়ার যোগ্য।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ওটসে রয়েছে বিটা-গ্লুকান, যা গ্লুকোজ শোষণ ধীর করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য এটি উপকারী। এছাড়া, হোল গ্রেইনস কাউন্সিলের মতে, নিয়মিত ওটস খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমানোর প্রভাব পড়ে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন কেন ওটস খাওয়া উচিত।
১. পেট ভরিয়ে তৃপ্ত রাখে
ওটসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেট ভরিয়ে রাখতে এবং তৃপ্ত বোধ করতে সাহায্য করে। এটি দুর্দান্ত ব্রেকফাস্ট হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি সারা সকাল ক্ষুধা নিবারণ করতে চান। ওটসের ফাইবার ধীরে ধীরে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং মধ্যাহ্নে খাবারের ক্ষুধা রোধ করে।
২. ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ
ওটস হলো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। দৈনন্দিন রুটিনে ওটস যোগ করলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
ওটস হজম স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। ওটসে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজম ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে হালকা এবং আরামদায়ক বোধ করতে কাজ করে। ওটস স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করার একটি প্রাকৃতিক উপায়।
৪. হৃদরোগ দূরে রাখে
ওটসে বিটা-গ্লুকান থাকে, একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ওটসকে আপনার খাদ্যতালিকায় একটি সহজ এবং কার্যকর সংযোজন করে নিন।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ওটসের ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ওটসের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ঘটায় না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
আরএ/এসএন