ছবি: সংগৃহীত
তিনি ছবির নায়িকা। তিনি পরিচালক-প্রযোজকের সমর্থনে কথা বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবির ক্ষেত্রে তেমন হল না। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। শনিবার রাত থেকে ছবি ঘিরে বিতর্ক শুরু। ছবির সহকারী পরিচালক মধুবন্তী মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছেন, তিনি, প্রসেনজিৎ চৌধুরী এবং তাঁদের দল মিলে ছবিটি বানিয়েছেন। ছবির প্রযোজক-পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য কিছুই করেননি। মধুবন্তীর আরও অভিযোগ, অরিন্দম তাঁর পারিশ্রমিকও মেটাননি। এ বার তাঁকে সমর্থন জানালেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিনি সমাজমাধ্যমে সরব, “ক্লাইম্যাক্স, পুরো ছবি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, শট ডিভিশন-সহ সব কাজ ডিওপি প্রসেনজিৎ চৌধুরী, মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়, আমি আর বিক্রম চট্টোপাধ্যায় মিলে করেছি। কারণ, পরিচালক ঘুমিয়ে ছিলেন!”
বিষয়টি পরিচালকের নজরে আনতে তিনিও পাল্টা বলেছেন, “এটা কি ছবির নেগেটিভ পাবলিটি হচ্ছে? ‘দুর্গাপুর জংশন’ এমনিতেই চলবে। এ সবের কোনও দরকার নেই।”
শনিবার রাত থেকেই সমাজমাধ্যমে মধুবন্তীর বার্তা নজর কেড়েছে টলিউডের বহু জনের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিধাবিভক্ত বাংলা বিনোদনমহল। কিছু মানুষ সমাজমাধ্যমে সমর্থন জানিয়েছেন অরিন্দমকে। তাঁদের দাবি, অরিন্দম পাঁচটি ছবির পরিচালক। আজ পর্যন্ত কোনও ছবির টেকনিশিয়ান, অভিনেতারা পারিশ্রমিক পাননি, এমন হয়নি।
এ দিকে মধুবন্তীর মতো স্বস্তিকাও অভিযোগ জানিয়েছেন, মধুবন্তী ছাড়া আরও কিছু টেকনিশিয়ান এখনও টাকা পাননি। তাঁর কথায়, “আমি শুনেছি, পরিচালক বাজার থেকে টাকা তুলেছেন। কিন্তু অনেক টেকনিশিয়ান টাকা পাননি। ওঁর মিথ্যাচার এবং প্রতারণার প্রতি এতটাই বিরক্ত যে, কয়েক মাস ধরে অরিন্দমের নম্বর ব্লক করে রেখেছি।” এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল ছবির পোশাক পরিকল্পক সুলগ্না চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পুরো পারিশ্রমিক পেয়েছেন। একই ভাবে পারিশ্রমিক পেয়ে গিয়েছেন।
ছবির সহকারী পরিচালক মধুবন্তীর থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবির নায়িকার দাবি, একটা সময়ের পর অরিন্দমকে বাইরে রেখেই পুরো ছবির শুটিং হয়েছে! অথচ এখন ছবি প্রশংসিত, ছবির ক্লাইম্যাক্স প্রশংসিত। বাহবা কুড়োচ্ছেন পরিচালক! এ প্রসঙ্গ অরিন্দমের কাছে তুলতেই তিনি ব্যঙ্গ করেছেন, “পাঁচটি ছবি পরিচালনা করেছি। তার জন্য একাধিক পুরস্কার, সম্মান পেয়েছি। সবটাই তা হলে টেকনিশিয়ান আর অভিনেতাদের জন্য। কারণ, আমি তো কিছুই পারি না! কিছুই করিনি!”
অরিন্দমের পাল্টা অভিযোগ, পাঁচটি ছবির দৌলতে কমপক্ষে ৫০০ জনের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর মধ্যে অনেকেই একাধিক বার তাঁর সঙ্গে ছিলেন। টাকা বাকি রাখলে এত দিন তাঁরা মুখ বুজে ছিলেন! কেন? পরিচালকের তাই পরামর্শ, “সত্যিই কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য গিল্ড-ফেডারেশন আছে। সমাজমাধ্যম মিথ্যা প্রতিবাদের মঞ্চ নয়।”
এসএন