রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য আমেরিকা ক্রমশ আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আমেরিকার যে সিদ্ধান্তগুলো বা সরকারের যে মনোভাব বা ট্রাম্প প্রশাসনের যে দৃষ্টিভঙ্গি এটি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসছে। সরকারের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে এবং সরকারের যে আন্তর্জাতিক যে ইমেজ থাকার কথা, ইন্টিগ্রিটি থাকার কথা, নেম ফেম অ্যান্ড রেপুটেশন থাকার কথা, সেই পুরো জিনিসগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ’
রনি বলেন, ‘ড. ইউনূস একবার যখন দুবাইতে গিয়েছিলেন, তখন সেখানে তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে কথা বললেন এবং ইলন মাস্কের স্টারলিংক বাংলাদেশে চালু হলো। তবে এটা এখন ড. ইউনূসের জন্য একটা বুমেরাং হয়ে গেছে।
এর কারণ হলো, এই ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেল এবং এখানে একটা ব্যাপার হলো যে তিনি যখন দুবাইতে বসে ইলন মাস্কের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছিলেন তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প পাশে বসেছিলেন। কিন্তু সেই ইলন মাস্ককে এখন জেলে নেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন। এ জন্য ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন বলতে গেলে ড. ইউনূসের জন্য বুমেরাং হয়ে গেছে।’
‘বাংলাদেশ থেকে আমরা যে গার্মেন্টস দ্রব্য ইউরোপ-আমেরিকাতে এক্সপোর্ট করি এর মধ্যে একক দেশ হিসেবে আমেরিকা নাম্বার ওয়ান। আমাদের টোটাল এক্সপোর্টের একটা বিরাট অংশ আমরা আমেরিকাতে এক্সপোর্ট করি এবং এর পরিমাণ হল ৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এখন এটি অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছে। এই শুল্ক কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রাণপন চেষ্টা করা হলো।
কিন্তু কোনো চেষ্টা কাজে আসছে না। বরং সেখান থেকে যে অবন্ধুসূলভ আচরণ পাওয়া যাচ্ছে। এটা সরকারের জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর।'
কেএন/টিকে