গ্রীষ্মকালীন খাবার: হাইড্রেশন এবং পুষ্টির জন্য পাঁচটি সেরা সবজি

গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাবারের পছন্দও পরিবর্তিত হয়, যেখানে আমরা ভারী খাবারের চেয়ে ঠান্ডা পানীয় এবং হালকা খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকতে শুরু করি। তবে গ্রীষ্মে শরীরকে সজীব এবং হাইড্রেটেড রাখতে আমাদের খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো শুধু হালকা এবং হজমে সহজ নয়, বরং শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি জোগায়।

গ্রীষ্মকালে শাক-সবজির বৈচিত্র্য কমে যায় এমন ধারণা ভুল। আসলে এসময় পাওয়া যায় বেশ কিছু মৌসুমী শাক-সবজি যা হাইড্রেশন ও পুষ্টিতে ভরপুর। চলুন, জানি এমন পাঁচটি গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি:

শসা:
শসা গ্রীষ্মে সবচেয়ে সতেজ সবজিগুলোর একটি। প্রায় ৯৫% পানি থাকায় এটি হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। শসা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

লাউ:
লাউ অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং পানি সমৃদ্ধ, গরমের দিনে এটি একটি আদর্শ খাবার। এতে ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা হজম এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

করলা:
করলায় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হজমে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।

ঝিঙে:
ঝিঙে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন এবং ডায়েটারি ফাইবারে ভরপুর, যা হজমশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি চোখের জন্যও উপকারী এবং গ্রীষ্মে পেটের জন্য হালকা খাদ্য হিসেবে কাজ করে।

কুমড়া:
কুমড়া গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং হাইড্রেটেড রাখে। এটি ৯০% পানি সমৃদ্ধ, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে পূর্ণ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

গ্রীষ্মকালে এই শাক-সবজি খেয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির স্তর বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ।



এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আহাদের ৫ জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ: ‘এহদ-এ-ওয়াফা’ থেকে ‘মীম সে মোহাব্বত’ Oct 12, 2025
img
৫ দফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতে ইসলামীর Oct 12, 2025
img
শেরপুর-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা Oct 12, 2025
img
বিশ্বকাপে জায়গা পেতে জটিল সমীকরণের মুখে বাংলাদেশ Oct 12, 2025
img
যেখানে-সেখানে থামা বন্ধে বাসে আসছে কাউন্টারভিত্তিক ব্যবস্থা Oct 12, 2025
img
‘গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন অভিনেত্রী হানিয়া আমির Oct 12, 2025
img
লজ্জার হারের পর বাছাইপর্বে অনিশ্চিত মিরাজ বাহিনী Oct 12, 2025
img
উত্তর কোরিয়ার সাথে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত চীন : রিপোর্ট Oct 12, 2025
img
পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের : তাজুল ইসলাম Oct 12, 2025
img
শ্বশুরের জন্মদিনে ঐশ্বরিয়ার শুভেচ্ছা বার্তা Oct 12, 2025
img
টোল আদায়ে অনিয়মের অভিযোগে হাসিনাসহ ১৭ জনের নামে মামলা Oct 12, 2025
img
আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান Oct 12, 2025
img
আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মবিরতির ডাক Oct 12, 2025
img
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ : সাইফুল হক Oct 12, 2025
img

দাবি পাকিস্তানের

আফগানিস্তানের ২০০ জনের বেশি সৈন্য ও যোদ্ধা নিহত Oct 12, 2025
img
ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেল ৫ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩ Oct 12, 2025
img
ভবিষ্যৎ ‘ফেভ ফোরের’ নাম জানালেন ভারতের সাবেক ব্যাটার Oct 12, 2025
img
ফলোঅনে পড়েও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ক্যারিবীয়রা Oct 12, 2025
img
মেসিদের ভারত সফর ঘিরে শঙ্কা বাড়ছে Oct 12, 2025
img

আসিফ মাহমুদ

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে কাজ করতে গেলেই বাজেট নিয়ে একটা মহল প্রশ্ন তোলে Oct 12, 2025