ছবি : সংগৃহীত
গরমে আমের স্বাদ একেবারেই অনন্য। আম দিয়ে বানানো টক ডাল, শরবত কিংবা লবণ-মরিচ দিয়ে মাখানো কাঁচা আম— সবই মন ভালো করে দেয়। তবে জানেন কি, কাঁচা আম শুধু স্বাদের জন্য নয়, শরীরের জন্যও খুব উপকারী? পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা আম লিভারের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
কিভাবে কাঁচা আম লিভার ভালো রাখে?
বাইল উৎপাদনে সহায়তা : কাঁচা আম লিভারে বাইল (পিত্তরস) উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
এই বাইল ফ্যাট ভাঙতে ও শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর : এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার। যা লিভারকে সক্রিয় রাখে এবং ডিটক্স প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
লুপেওল উপাদান : কাঁচা আমের শাঁসে থাকা লুপেওল লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
কাঁচা আমের আরো কিছু উপকারিতা
হার্ট সুস্থ রাখে : এতে থাকা ভিটামিন বি ও ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ও রক্ত চলাচল উন্নত করতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়ক : কাঁচা আমে থাকা প্রাকৃতিক হজমকারী উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি ও বদহজম দূরে রাখতে সাহায্য করে।
দাঁত ও মাড়ির যত্ন : এটি দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, গলার দুর্গন্ধ কমায় ও স্কার্ভির মতো রোগ প্রতিরোধ করে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি।
রক্তের সমস্যা কমায় : রক্তাল্পতা বা হিমোফিলিয়ার মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও কাঁচা আম উপকারী। এটি রক্তকোষ তৈরিতে সাহায্য করে এবং রক্ত চলাচল ভালো রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে : কাঁচা আমে ক্যালোরি ও চিনি কম, কিন্তু ফাইবার বেশি। যা ওজন কমানোর ডায়েটে উপকারী করে তোলে।
ত্বক, চুল ও চোখের যত্নে : এতে থাকা ভিটামিন এ, সি, কে ত্বক ও চুলকে করে আরো স্বাস্থ্যকর এবং চোখের দৃষ্টিশক্তিও ভালো রাখে।
কী পরিমাণে খাবেন?
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কাঁচা আম খাওয়া ভালো হলেও অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। বেশি খেলে পেট ব্যথা, গলা শুকনো বা অস্বস্তি হতে পারে। কাঁচা আম খেয়েই ঠাণ্ডা পানি খাওয়া একেবারে নয়, এতে গলায় সমস্যা বাড়তে পারে।
এমআর/এসএন