হলুদ শুধু রান্নার স্বাদ ও রঙ বাড়ানোর উপাদান নয়—এর রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণও। রূপচর্চা থেকে শুরু করে নানা শারীরিক সমস্যার প্রতিকারেও হলুদ এক কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান।
ব্রোণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্যবহার করেন লেবুর রসের সঙ্গে মেশানো হলুদ। এটি শুধু ব্রোণ দূর করে না, দাগও কমায়। ত্বকের পরিচর্যায় তাই হলুদের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
স্বাস্থ্য দিকেও হলুদ দারুণ উপকারী। এটি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ইনফ্লেমেশন সৃষ্টিকারী উপাদান যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রতিরোধে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা, হজমের সমস্যা, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, এমনকি ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যার প্রতিকারে কাজ করে হলুদ।
চোখের রেটিনা ক্ষয় প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। পাশাপাশি, মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও ডোপামিনের ভারসাম্য রক্ষা করে মানসিক প্রশান্তিও আনে হলুদ।
এই সব উপকারিতা আরও সহজভাবে পেতে চাইলে প্রতিদিন সকালে এক কাপ হলুদের চা পান করতে পারেন। কিছুদিনেই দেখা মিলবে ইতিবাচক পরিবর্তনের।
হলুদের চা তৈরির উপকরণ:
হলুদের গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ (বা ১ চা চামচ)
গরম পানি
মেথি দানা
গোলমরিচের গুঁড়া
প্রস্তুত প্রণালি:
পানি গরম করে তাতে হলুদের গুঁড়া, মেথি দানা এবং গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। পানি একটু ঠান্ডা হলে ধীরে ধীরে চায়ের মতো পান করুন।
গবেষণা বলছে, গোলমরিচের সাথে হলে হলুদের উপকারিতা প্রায় শতগুণ বেড়ে যায়। এতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
প্রতিদিন সকালে হলুদের চা খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে গড়ে তুলতে পারে নানা রোগ থেকে নিরাপদ এক প্রতিরোধক দেহে।
এসএস/এসএন